ভিডিওটি ইউক্রেনে হামলার নয়, ২০১৫ সালে চীনে এক বিস্ফোরণের
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে এটি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে মিসাইল হামলার দৃশ্য। দাবিটি অসত্য; ভিডিও ক্লিপটি মূলত ২০১৫ সালে চীনের বন্দর নগরী তিয়ানজিনে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে শেয়ার করা একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, “ইউক্রেন এ মিসাইল হামলা চালালো রাশিয়া। যুদ্ধ শুরু।”

প্রায় ২০ হাজার বার দেখা ভিডিও ক্লিপটিতে একটি বিস্ফোরণ এবং পরবর্তীতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়।
ভিডিওটি ভারত ও পাকিস্তানেও সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুক ও টুইটারে ছড়িয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে স্থল ও আকাশপথে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে কিয়েভ ও অন্যান্য সীমান্তবর্তী শহরে মুহুর্মুহু মিসাইল হামলা চলছে।
তবে ফেসবুকে ভিডিওটি অসত্য দাবি সহকারে ছড়ানো হচ্ছে।
গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে একই ভিডিও ক্লিপ ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট বিবিসি'র একটি প্রতিবেদনে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, “প্রত্যক্ষদর্শীদের নেওয়া চীনের তিয়ানজিন শহরে দুটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের ফুটেজে ঘটনাটির ভয়াবহতা ও শঙ্কার মাত্রা ফুটে উঠেছে।”
“ঝুকিপূর্ণ পণ্য নিয়ে কাজ করে এমন একটি কোম্পানির গুদামে অগ্নিকান্ড এবং পরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে বেশ কয়েকজন নিহত এবং শত শত লোক আহত হন।”
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) ও ২০১৫ সালের বিবিসি'র প্রতিবেদনের (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেখুন:
বিবিসি'তে প্রকাশিত ভিডিও ক্লিপটি ধারণ করেন তিয়ানজিনে বসবাসরত মার্কিন নাগরিক ড্যানিয়েল ভ্যান ডুরেন।
ফুটেজটি দ্যা গার্ডিয়ান ও এনবিসি'র মতো অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।
বিস্ফোরণের ঘটনাটিতে কমপক্ষে ১৬৫ জন নিহত হন।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি এর সৌজন্যে এএফপির পাওয়া একটি ফুটেজেও একইরকম দৃশ্য দেখা যায়।
এএফপির নিজস্ব ফুটেজে ঘটনাতে পুড়ে যাওয়া গাড়ির সারি ও ক্ষতিগ্রস্ত গুদাম থেকে ধোয়া উড়তে দেখা যায়।