এটি হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করায় পুলিশ কর্তৃক মুসলিম ছাত্রীকে 'সম্মান প্রদর্শনের' ভিডিও নয়
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 24 ফেব্রুয়ারি 2022, 12:20
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি শেয়ার করা বাংলা পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “আবশেষে মুসকান নামে সে বোনকে সর্বচ্চ সম্মান দিতে বাধ্য হলো ভারতীয় পুলিশ। এবং কোটের রায় এসেছে এখন থেকে হিজাব পড়ে শিক্ষা প্রতিষ্টানে যেতে পারবে ছাত্রীরা।”
মুসকান খান ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মুসলমান একজন ছাত্রী যিনি ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যটিতে হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর তার কলেজ প্রাঙ্গনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি দল কর্তৃক ধাওয়ার শিকার হন এবং পরবর্তীতে দৃশ্যটি বিশ্বব্যাপী অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টটিতে আরো বলা হয় যে, আদালতের রায় কর্তৃক হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্ণাটক হাইকোর্টে এখনো নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে করা আপিলের উপর শুনানী চলছে।
এর আগে অন্তর্বর্তী এক আদেশ অনুযায়ী আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক পরার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
একইরকম দাবি সহকারে ভিডিওটি ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়।
তবে দাবিটি অসত্য।
এএফপি দেখতে পায় ভাইরাল ভিডিও ক্লিপটির মধ্যেই ইংরেজি টেক্সটে লেখা রয়েছে যে, এতে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে দেখা যাচ্ছে।
কী-ফ্রেমের সাহায্যে রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় একই ভিডিও ২০২০ সালের ৬ মার্চ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'টাইমস অব ইন্ডিয়া'র ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার দেয়া ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “নারী দিবস: মহারাষ্ট্রের বুলধানায় ১৪ বছর বয়সী ছাত্রী একদিনের জন্য ডিএসপি।”
প্রতিবেদনটিতে বুলধানা জেলার জেলা পরিষদ উর্দু হাইস্কুল এর এই ছাত্রীর নাম সাহরিশ কানওয়াল বলে উল্লেখ রয়েছে।
গুগলে কীওয়ার্ড সার্চে একই ঘটনা নিয়ে ২০২০ সালের ৫ মার্চ প্রকাশিত টাইমস অব ইন্ডিয়ার আরেকটি প্রতিবেদন পাওয়া যায় যেখানে একই ভিডিও রয়েছে।
বুলধানা পুলিশ ২০২০ সালের ৪ মার্চ তাদের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও অনুরূপ কিছু ছবি পোস্ট করে।
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) ও টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:
একই ঘটনার ছবিগুলো এর আগেও ভারতে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর দাবি সহকারে ছড়ানো হয় এবং এএফপি এর উপর ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন করে। দেখুন এখানে ও এখানে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ