ভিডিওটিতে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখা যাচ্ছে
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 8 জুন 2021, 14:15
- আপডেট করা হয়েছে 9 জুন 2021, 07:53
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ২২ মে ফেসবুকে এখানে ভিডিওটি পোস্ট করা হয় যা ১৪ হাজার বার শেয়ার হয়েছে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা আছে: 'আল্লাহর গজব শুরু হয়েছে...ইসরায়েলের গ্যাস ফিল্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।'
ভিডিওটিতে দেখা যায় কালো ধোয়ায় আচ্ছন্ন একটি শিল্পকারখানার ভবন ঘিরে আগুনের শিখা জ্বলছে।
একইরকম দবি করে ভিডিওটি ফেসবুকে এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে পোস্ট করা হয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পটভূমিতে ভিডিওটি ছড়ানো হয়। গত ২১ মে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনী হামাসের মধ্যে ১১ দিন ব্যাপী চলা যুদ্ধে ৬৬ শিশুসহ ২৬০জন ফিলিস্তিনী ও ১৩ ইসরায়েলী নিহত হয়েছেন।
দাবিটি অসত্য।
ভিডিওটির কী-ফ্রেম দিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ চালিয়ে দেখা যায় যে, ভিডিওটির একাংশ ২০১১ সালের ৪ অক্টোবরে একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড হওয়া 'Texas chemical plant fire October 3, 2011' শিরোনামের একটি ভিডিও থেকে নেওয়া।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ও ইউটিউবের ভিডিওটির তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেখুন নীচে:
গুগল কীওয়ার্ড সার্চে এ সংক্রান্ত আরো প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ওয়াল স্ট্রীট জার্নালের 'Massive Chemical Fire at Magnablend Plant in Texas' শীর্ষক এই প্রতিবেদনে ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর টেক্সাসের রাসায়নিক কারখানার অগ্নিকাণ্ডটির কাছাকাছি দৃশ্যের ভিডিও দেখা যায়। প্রতিবেদনটি অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে এ ঘটনায় কারখানা, পার্শ্ববর্তী ভবন এবং স্কুল খালি করা হয়।
একই রকম ফু্টেজ নিয়ে ব্রিটেনের দ্যা টেলিগ্রাফ ও বার্তা সংস্থা এপি (এসোসিয়েটেড প্রেস) এর ইউটিউবে ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন এখানে ও এখানে।
এএফপি ফেসবুকে ছড়ানো ভিডিওটির অপর অংশ বের করে দেখতে পায় যে এটি ২০১২ সালে মার্কিন সীমান্তবর্তী মেক্সিকোর একটি গ্যাস প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের দৃশ্য।
গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোর উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় তামাউলিপাস অঙ্গরাজ্যের এই প্ল্যান্টটিতে বিস্ফোরণের ঘটনার বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনের সাথে এই ভিডিওটি পাওয়া যায়। বিস্ফোরণটিতে ৩০ জন নিহত হন। দেখুন এখানে ও এখানে।
একই ভিডিও এর আগেও ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার বলে বিভ্রান্তিকর দাবিসহ ছড়ানো হয়। এ সংক্রান্ত এএফপির ইংরেজি ফ্যাক্টচেকটি দেখুন এখানে।
গত মে মাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের একটি গ্যাস ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এএফপির ভিডিও দেখুন এখানে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ