
বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার ফুটেজকে সত্যিকারের অগ্নিকাণ্ড বলে প্রচার
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 23 জানুয়ারি 2022, 06:45
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে ফেসবুকে ভিডিওটি এখানে শেয়ার করা হয়েছে।
১২ হাজার বারের বেশি ভিউ হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিমান দাঁড়িয়ে আছে এবং তা থেকে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। এসময় দূরে থেকে সাইরেনের আওয়াজ ভেসে আসছে শোনা যায়।
বাংলায় ফেসবুকে ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: "লঞ্চের পর এবার বিমানে আগুন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আগুন লেগে ছাঁই হয়ে গেছে একটি বিমান!"

২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বরে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ফেরিতে আগুন লেগে অন্ততপক্ষে ৩৭ জন নিহত হন বলে এএফপির খবরে জানানো হয়।
বিমানে আগুনের ফুটেজটি ফেসবুকে এখানে ও এখানে পোস্ট করা হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকে বিমানে আগুনের ভিডিও দেখে সত্যিকারের দুর্ঘটনা হিসেবে বিভ্রান্ত হয়েছে।
একজন মন্তব্য করেছেন, "বিমানে কোনো যাত্রী ছিল?"; আরেকজনের মন্তব্য, "ইন্নালিল্লাহ"।
কিন্তু দাবিটি আসলে বিভ্রান্তিকর।
কীওয়ার্ড ও রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ফুটেজ বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম যমুনা টিভির এই প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে যেখানে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
নিচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্ট (বামে) এবং যমুনা টিভির সম্প্রচার করা ফুটেজের (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট তুলে ধরা হলো:

মহড়া সংক্রান্ত অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেও একই রকম ফুটেজ এখানে ও এখানে ব্যবহার করা হয়েছে।
"রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে বিমান। ডান ইঞ্জিন থেকে লেগেছে আগুন। দাউ দাউ করে জ্বলছে যাত্রীবাহী বিমানটি। সত্যিকারের কোনো দুর্ঘটনা নয়, অনাকাঙ্খিত এমন ঘটনা ঘটে গেলে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে তারই অনুশীলন হয়ে গেল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে", ৩১ তারিখের প্রতিবেদনে সময় টিভির প্রতিবেদক বলেছেন এসব কথা।
মহড়াস্থলে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, "আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সনদ প্রাপ্তির লক্ষ্যে এই মহড়াটি আয়োজন করা হলেও এর অভিজ্ঞতা সকলের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে। সত্যিকার দুর্ঘটনার সময় তা যথাযথভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।"
আগুন লাগা বিমানটি ডামি বিমান ছিল বলে জানানো হয়েছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। দেখুন এখানে ও এখানে।
বাংলাদেশ পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "মহড়ার জন্য বিমানবন্দরের ট্যাক্সি ওয়ের পাশে একটি ডামি বিমান রাখা হয়। রাত ১টা ১৭ মিনিটে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে জানানো হয় ডামি বিমান আগুন লেগেছে। চার মিনিট পর রাত ১টা ২১ মিনিটে বিমানবন্দরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে পৌঁছায়।"
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ