![](/sites/default/files/medias/factchecking/g2/2021-09//137b621352bba15484d4df4bfbe0a127.jpeg)
এটি বাংলাদেশের একটি স্কুলে পরিচ্ছন্নতা কাজ করে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ভিডিও
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 30 সেপ্টেম্বর 2021, 10:53
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ভিডিওটি গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে এখানে শেয়ার করা হয়।
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2021-09/5db4c8062d20a84ec09c8debdb2c3a60.jpeg?itok=FPD04Mqh)
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ''প্রধান শিক্ষকের বেতের আঘাতে স্কুল ছাত্রির মৃত্যু, এগুলো ভাইরাল হয় নাই, আলেমেরা কিছু করলেই ভাইরাল হয়ে যায়।''
ভিডিওটিতে কয়েকজন ছাত্রীকে ডেস্কের উপর শুয়ে থাকতে এবং সহপাঠী ও শিক্ষকরা তাদের জরুরি চিকিৎসা দিতে দেখা যাচ্ছে।
ভিডিওটি গত এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময়ে এখানে, এখানে ও এখানে একই রকম দাবি সহকারে শেয়ার করা হয়েছে।
তবে দাবিটি অসত্য।
ভিডিওটির কী-ফ্রেম দিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, স্কুলে পরিচ্ছন্নতা কাজ করা অবস্থায় কয়েকজনর ছাত্রী অসুস্থ হওয়া সংক্রান্ত বেশ কিছু ফেসবুক পোস্টের সাথে ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়েছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।
২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের এরকম একটি পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ''মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বহুদিনের বেড়ে উঠা ঘাষ পরিস্কার করতে গিয়ে বুধবার শতাধিক স্কুল শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।''
''গুরুতর অসুস্থ ছাত্র/ছাত্রীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।''
মানিকগঞ্জ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী একটি জেলা।
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) ও ২০১৯ সালের ফেসবুক পোস্টের ভিডিওর (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2021-09/e5be22792b52729ac1a631f4c9ed7b15.jpeg?itok=RnJY_gaQ)
গুগল কীওয়ার্ড সার্চে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমেও একই ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরের যুগান্তরের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ''প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় খেলার মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায় বলে জানা গেছে। আহতদের প্রায় সবাই ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রী।''
''শিক্ষার্থীরা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা দেন সাটুরিয়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মামুনউর রশিদ।''
যুগান্তরের এই প্রতিবেদন এবং এখানে ও এখানে প্রকাশিত অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেও এই ঘটনায় কোন ছাত্রীর মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়নি।
এএফপি দড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর তথ্য সহকারে ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ''২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আমাদের স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। কিছু ছাত্রী অসুস্থ হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরই সবাই সুস্থ হয়ে যায়। কাউকে বেত্রাঘাতও করা হয়নি, কেউ মারাও যায়নি। এটি অসত্য দাবি।''
বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টে পাওয়া স্কুলের ছবির সাথে ফেসবুকের এই পেজে পাওয়া দড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছবির মিলও পাওয়া যায়। তুলনামূলক চিত্র দেখুন নীচের দুটি স্ক্রিনশটে:
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2021-09/6e849213d56ff111d771a745b8c08214.jpeg?itok=3pY69tSi)
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2021-09/d16ba4d548629afe1e2f1a767f985991.jpeg?itok=NLW1LeYC)
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ