
বাংলাদেশের নয়, ছাত্র নির্যাতনের ক্লিপটি পাকিস্তানের
- প্রকাশিত 4 জুন 2025, 15:20
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
- অনুবাদ এবং অভিযোজন Eyamin SAJID
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
সতর্কতা: গ্রাফিক ভিজ্যুয়াল
২৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে একটি ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, "কতটা অমানবিক হলে এটা সম্ভব! কিছু কিছু মাদ্রাসাতে এভাবেই জান্নাতের টিকিট দেয়া হয়"।
পোস্টে একটি মাদ্রাসার ভেতরে কিছু শিক্ষার্থীর বই পড়া এবং মাথা নিচের দিকে ঝুলানো কান্নারত একটি শিশুর গ্রাফিক ফুটেজ যুক্ত করা হয়েছে।
গ্রাফিক ভিজ্যুয়াল বা ফুটেজ হচ্ছে এমন ছবি কিংবা ভিডিও যা একজন দর্শককে মানসিক ভাবে আহত করে থাকতে পারে।
কন্টেন্ট সতর্কতা
শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকদের হাতে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর একই ধরনের পোস্টফেসবুকে ছড়িয়েছে(আর্কাইভ এখানে ও এখানে)।
তবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি পুরনো এবং এটি বাংলাদেশের নয়।
ফুটেজটির কিফ্রেম নিয়ে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ জুন এটি পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল এক্সপ্রেস নিউজ'র ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত হয়েছিল(আর্কাইভ লিংক)।
পোস্টের উর্দু ক্যাপশনে বলা হয়, "মাদ্রাসায় এক শিশুকে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার"।
কন্টেন্ট সতর্কতা
এরপর কিওয়ার্ড সার্চে ২০১৯ সালের জুনে জিও নিউজ ও দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনের সাথে যুক্ত একই ধরণের ভিডিও পাওয়া যায়(আর্কাইভ এখানে ও এখানে)।
দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল কয়েক মাস আগে। এরপর ঘটনার সাথে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে একটি মীমাংসা হয়।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরের পুলিশ জানিয়েছে যে, ক্লিপটি ভাইরাল হওয়ার পর তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করেছে এবং শিশুটিকে বেঁধে রাখার অভিযোগে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে(আর্কাইভ লিংক)।
এএফপি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেছে। তবে ঘটনাটি অনেক পুরনো হওয়ার কারণে তাঁরা সর্বশেষ কোনও তথ্য প্রদান করতে পারবে না বলে জানিয়েছে পুলিশের একজন প্রতিনিধি।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ