
ভিডিওটি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি ভবনের নয়, বরং কাবুল পতনের আগের একটি ঘটনার
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 19 আগস্ট 2021, 10:51
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
- অনুবাদ এবং অভিযোজন Mohammad MAZED
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৫১ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটি গত ১৭ আগস্ট ফেসবুকে এখানে পোস্ট করা হয়। ক্লিপটিতে একটি বিলাসবহুল বাসভবনে কয়েক ব্যক্তিকে দেখা যায়; যাদের মধ্যে কেউ খাওয়া দাওয়া করছেন, কেউ সোফায় বসে আছেন আবার কেউ হাঁটাহাঁটি করছেন।

পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, 'প্রেসিডন্ট প্যালেস এ যাবার পর তালেবানি ভোজ এর নমুনা।'
গত ১৫ আগস্ট তালেবানদের হাতে কাবুলের পতনের পর প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনী দেশত্যাগ করলে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ক্লিপটি নতুন করে ছড়ায়।
একইরকম ক্যাপশনসহ ভিডিওটি ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়।
আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহারের প্রাক্কালে আফগান প্রশাসনের দূর্বলতায় ক্ষমতা থেকে অপসারনের বিশ বছর পর এ সপ্তাহে আবারো তালেবান যোদ্ধারা দেশটির ক্ষমতা দখল করে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর অনুযায়ী তালেবান সদস্যরা রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করলে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনী দেশ ত্যাগ করেন এবং তালেবানরা রাষ্ট্রপতি ভবনের দখল নেয়।
তবে রাষ্ট্রপতি ভবনে তালেবান সদস্যদের গতিবিধি নিয়ে আল জাজিরার এই ফুটেজের সাথে ফেসবুকে ছড়ানো ভিডিও ক্লিপটির মিল নেই।
কী-ফ্রেম সার্চে দেখা যায়, এই ভিডিও ক্লিপটি গত ১৪ আগস্ট আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরীফে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল রশীদ দস্তুমের বাসভবনে তালেবান সদস্যদের প্রবেশের সময়কার বলে টুইটারে পোস্ট করা হয়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেও একই দৃশ্য পাওয়া যায়। দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
বলখের সাবেক গভর্নর মুহাম্মদ নূরের সাথে মিলে আবদুল রশীদ দস্তুম দীর্ঘদিন ধরে তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি কাবুল অধিকারের আগে মাজার-ই-শরীফ তালেবানদের দখলে আসলে দস্তুম দেশ ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশ উজবেকিস্তানে আশ্রয় নেন।
ভিডিওটি মোয়ায়েদ সালিম আল জাহেশী নামে একজনের গত ১৩ আগস্টের একটি ফেসবুক পোস্টে পেয়েছে এএফপি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, এটি ১৫ আগস্ট কাবুলের রাষ্ট্রপতি ভবনে তালেবানদের প্রবেশের পরের দৃশ্য নয়।
এএফপি আরবি-ও ভিডিওটি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন করেছে। দেখুন এখানে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ