এই কোলাজের বেশিরভাগ ছবিই তুরস্কের সাম্প্রতিক দাবানলের নয়
- নিবন্ধটি চার বছরেরও বেশি পুরনো।
- প্রকাশিত 8 আগস্ট 2021, 07:29
- আপডেট করা হয়েছে 8 আগস্ট 2021, 15:37
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
গত ৩১ জুলাই ফেসবুকে এখানে একটি পোস্ট করা হয়।
পোস্টটির ক্যাপশন ছিল: 'ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে তুরস্ক। আল্লাহ তাদের হেফাজত করুন। #PrayForTurkey'.'
একইরকম পোস্ট ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়।
সম্প্রতি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সংঘটিত ভয়াবহ দাবানলে এ পর্যন্ত আট জন নিহত হয়েছেন এবং পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে ছয়টি ছবির কোলাজ সংযুক্ত ফেসবুক পোস্টগুলো বিভ্রান্তিকর।
রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, কোলাজটির ছয় ছবির পাঁচটিই অতীতের গত দুই দশকের বিভিন্ন ঘটনার।
প্রথম ছবিটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তুরস্কের ইজমির প্রদেশে তোলা হয়।
সিএনএন তুর্কে প্রকাশিত এই ছবিতে উপকূলীয় এলাকা দিকিলি এর বোটানিক্যাল গার্ডেনের পশ্চিম পার্শ্ব সংঘটিত একটি অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
দ্বিতীয় ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে তোলা যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি হ্রদের পাশে দাঁড়ানো দুটি হরিণ পাহাড়ের উপর সংঘটিত আগুনের দিকে তাকিয়ে আছে। আলাস্কা ফায়ার সার্ভিসের একজন ফায়ারকর্মী জন ম্যাককোলগান ২০০০ সালের ৬ আগস্ট মন্টানার বিটাররুট ভ্যালিতে ছবিটি তোলেন।
ছবিটির বিস্তারিত একটি ভার্সন আর্থ সায়েন্স পিকচার অব দ্যা ডে নামের এই ওয়েবসাইটে দেখা যাবে।
তৃতীয় ছবিতে একটি বনে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের সময় সুরক্ষা সামগ্রী পরিহিত এক ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে। ২০১৯ সালের আগস্টে নর্থ পিস স্মোকজাম্পারসদের নিয়ে সিবিসি রেডিওর এই প্রতিবেদনের জন্য মাইকেল মোয়েন কানাডার বৃটিশ কলাম্বিয়াতে এই ছবিটি তোলেন। এই স্মোকজাম্পারসরা কোন বনে আগুন লাগলে প্যারাসুটের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে নিয়োজিত থাকেন।
চতুর্থ ছবিতে দেখা যাচ্ছে দুটি গাছের গুড়িতে আগুন জ্বলছে যা ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট তুরস্কের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
পঞ্চম ছবিটি ২০২০ সালে তুরস্কে মাহমুদ সর্দার ইউএনডিপি তুরস্কের জন্য তোলেন। ২০২০ সালের ২০ মার্চ প্রকাশিত ইউএনডিপি ইউরেশিয়ার এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।
কোন এক পাহাড়ে সংঘটিত দৃশ্যমান অগ্নিকাণ্ডের ষষ্ঠ ছবিটির উৎস এএফপি বের করতে পারেনি। এএফপির ইংরজি প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ