এডিট করা ছবিকে 'সত্যিকারের দুই পা বিশিষ্ট উট'র ছবি বলে প্রচার

  • নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
  • প্রকাশিত 30 ডিসেম্বর 2021, 07:21
  • 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
  • লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
ফেসবুকে বিভিন্ন পেইজ ও প্রোফাইল থেকে একটি উটের ছবি শত শতবার শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে এটি সত্যিকারের একটি দুই পা বিশিষ্ট উটের ছবি। দাবিটি অসত্য। একটি চার পা বিশিষ্ট উটের ছবিকে সম্পাদনার মাধ্যমে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।

গত ২০ ডিসেম্বর তারিখে ছবিটি ফেসবুকে এখানে পোস্ট করা হয়েছে।

বাংলা ভাষায় পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: "সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবই সম্ভব। ছবিটি তারই প্রমান। সুবহান আল্লাহ।"

Image

বিগত কয়েক বছর ধরে ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে একই দাবিসহকারে ছড়াচ্ছিলো। যেমন- ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ফেসবুকে ছবিটি এখানে শেয়ার করে ক্যাপশন দেয়া হয়: "দুই পা ওয়ালা উট। আল্লাহ্ চাইলে সব সম্ভব।"

একই ছবি একইরকম ক্যাপশনসহ ফেসবুকে এখানেএখানে পোস্ট করা হয়েছে।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মূল ছবি থেকে সম্পাদনার মাধ্যমে উটের পেছনের দুটি ফেলে দেয়া হয়েছে। 

কীওয়ার্ড ও রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ছবিটির পুরনো একটি ভার্সন পাওয়া গেছে নিজেকে প্রাণিবিজ্ঞানী হিসেবে পরিচয় দেয়া ড. আব্দুল রাজিক কাকার নামে এক ব্যক্তির এই ব্লগ পোস্টে যা ২০১২ সালের ২৩ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে।

এএফপি'র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ড. রাজিক কাকার জানান, মূল ছবিটি তিনি নিজে ২০০৮ সালের দিকে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মিতি থার জেলার নগর পার্কার এলাকা থেকে তুলেছেন।

"হ্যাঁ, ছবিটি আমি নিজে তুলেছি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মিতি থার জেলায়। পরে কেউ এটিকে সম্পাদনা করে দুই পা বিশিষ্ট বানিয়েছে", বলেছেন ড. রাজিক

ড. রাজিক নিয়োমিত উট সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করেন এবং ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন। এখানে ২০১১ সালে তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।

একই ছবি এখানে একটি ওয়ালপেপার শেয়ারিং ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।

নিচে ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টে প্রকাশিত ছবি (বামে) এবং অন্যান্য প্লাটফর্মে পাওয়া মূল ছবিটির (ডানে) তূলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:

Image

একই ছবির একটি উল্টানো ভার্সন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওয়েবসাইট Animal Picture Society-এ প্রকাশিত হয়েছিল।

নিচে এই উল্টানো ছবির (ডানে) সাথে সম্পাদনাকৃত ছবিটির (বামে) ছবিটিরর তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:

Image

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট স্নোপস ২০১৮ সালের মার্চে ছবিটি খণ্ডন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ