![](/sites/default/files/medias/factchecking/g2/2021-10//39e07047cc054efc202e87d131068260.jpeg)
বাংলাদেশে ধর্মীয় সহিংসতার ঘটনায় গ্রেফতার বলে ভুল ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ছড়িয়েছে
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 20 অক্টোবর 2021, 10:33
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ১৪ অক্টোবর তারিখে ফেসবুকে এখানে ছবিটি শেয়ার করা হয়।
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2021-10/589ff5a285b9a5ac893c02f996341b53.jpeg?itok=hPacxGsA)
বাংলায় পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: "কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।"
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় দুর্গাপুজা চলাকালে প্রতিমার কোলে কুরআনের একটি কপি রাখার ঘটনার ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ছবিটি ফেসবুকে একই দাবিসহকারে এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে পোস্ট করা হয়েছে।
কিন্তু ফেসবুক পোস্টগুলোতে দেখা যাওয়া ব্যক্তির ছবিকে ভুলভাবে কুমিল্লার ঘটনার সাথে যুক্ত করে অনলাইনে ছড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গুগলে কীওয়ার্ড এবং রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ছবিটিকে গত ১১ অক্টোবর তারিখে ফেসবুকে প্রথম পোস্ট করা হয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটে তার দুইদিন পরে।
১১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে কতোয়ালি থানার ফেসবুক পেইজে তিনজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার খবর ও ছবি পোস্ট করা হয়। তাদের মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবির ব্যক্তিটিকেও দেখা যাচ্ছে। ওই পোস্টে পুলিশ জানিয়েছিল, ছবির ব্যক্তিদেরকে চট্টগ্রামে ভিন্ন একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
কতোয়ালি থানার ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: "শ্রী শ্রী শ্মশানেশ্বরি শিব বিগ্রহ মন্দির, শিব বাড়ি এর দেবী দুর্গার প্রতিমায় জাম্বুরা নিক্ষেপ করে প্রতিমার হাত ভেঙ্গে ফেলার অপরাধে ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।"
নিচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্ট (বামে) এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কতোয়ালি থানার ফেসবুক পোস্টের (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হলো:
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2021-10/0d1617944831d182c0683f0ada17b4ef.jpeg?itok=JE5FdBZk)
চট্টগ্রামের ওই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের খবর বাংলাদেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এখানে ও এখানে।
কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন এএফপি'কে জানিয়েছে যে, বিভ্রান্তিকর পোস্টে ছড়ানো ছবিতে দেখা যাওয়া ব্যক্তিটি চট্টগ্রামে এক মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় অন্য দুইজনের সাথে গ্রেফতার হওয়া একজন।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ