১৪ জনের সাথে প্রেম সংক্রান্ত রম্যরচনাকে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে বাস্তব ঘটনা হিসেবে প্রচার

  • নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
  • প্রকাশিত 18 জুলাই 2021, 11:38
  • আপডেট করা হয়েছে 18 জুলাই 2021, 11:42
  • 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
  • লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
প্রায় দুই বছর আগে বাংলাদেশি কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রেমিকের বাসায় একসাথে ১৪ প্রেমিকার উপস্থিতির ফলে প্রেমিক কোমায় চলে যাওয়ার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই বছর সংবাদটি পুনরায় ফেসবুকে অনেকে পোস্ট করছেন। মূলত প্রতিবেদনটি ছিল একটি রম্যরচনা; ২০১৯ সালে ভারতীয় একটি বিনোদনমূলক ওয়েবসাইটের রম্য বিভাগে তা প্রকাশিত হয় এবং ওয়েবসাইটটির প্রতিষ্ঠাতা এএফপিকে জানান যে, খবরটির কোন বাস্তব ভিত্তি নেই।

২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এখানে 'ডেইলী বাংলাদেশ' নামক একটি বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টালে ১৪ প্রেমিকার সাথে এক প্রেমিককে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়: ''না জানিয়ে হঠাৎ করেই বাড়িতে একসঙ্গে হাজির হলেন ১৪ জন প্রেমিকা। আর তাতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে কোমায় যেতে হয়েছে প্রেমিককে। ভারতের দিল্লিতে এমনি এক ঘটনা ঘটেছে। রাকিব নামে ওই প্রেমিকের বয়স মাত্র ১৮।''

Image

সম্প্রতি অনলাইনে প্রতিবেদনটি পুনরায় ছড়াতে শুরু করে। গত ৭ জুলাই ফেসবুকে এখানে এরকম একটি পোস্ট করা হয়। 

পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা: ''হঠাৎ একসঙ্গে বাড়িতে হাজির ১৪ জন প্রে’মিকা, তারপর…''

ফেসবুকে এখানে, এখানেএখানেও একই দাবি সম্বলিত পোস্ট করা হয়। 

অন্যদিকে ২০১৯ সালে বাংলাদেশি কিছু অনলাইন পোর্টালে এখানে, এখানে, এখানে, এখানেএখানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।  

কিন্তু দাবিটি বিভ্রান্তিকর; মূলত প্রতিবেদনটি ছিল একটি স্যাটায়ার তথা রম্য প্রতিবেদন, যার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই।

গুগল কীওয়ার্ড সার্চে দেখা যায় প্রতিবেদনটি ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের জনপ্রিয় বিনোদন বিষয়ক ওয়েবসাইট আরভিসিজে মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনটির শিরোনামের ঠিক উপরে স্পষ্ট করে 'হিউমার' তথা 'রম্য রচনা' লিখা ছিল। যদিও এএফপির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলেন। 

Image

আরভিসিজে এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শহীদ জাভেদ আনসারী এএফপিকে জানান, এটি নিছক একটি রম্যরচনা ছিলো। প্রতিবেদনটি বাস্তব কোন ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা হয়নি।

তিনি এএফপি'কে ইমেইলে বলেন, ''এটি একটি রম্য লেখা ছিল এবং এজন্য ওয়েবসাইটের রম্য বিভাগেই তা প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু অন্যান্যরা এই প্রতিবেদনকে সত্য বলে ধরে নিচ্ছেন তাই পরবর্তীতে আরো বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য আমরা তা ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলেছি।''

ডেইলি বাংলাদেশের প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিটিও ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লিভারপুলে হেন পার্টি (শিগগির বিয়ে হতে যাচ্ছে এরকম কনের বন্ধুদের নিয়ে করা পার্টি) নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়।     

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ