
পুরনো হামলার ফুটেজকে ভারতের ওয়াকফ বিলের সাথে জড়িয়ে অসত্যভাবে প্রচার
- প্রকাশিত 2 জুন 2025, 10:18
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- অনুবাদ এবং অভিযোজন Eyamin SAJID
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ফেসবুকে ছড়ানো একটি ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়, "বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ওয়াকফ বিল সমর্থন করায় মঞ্চে উঠে সপাটে কষিয়ে চড় মারলেন এক মুসলিম যুবক"।
ক্লিপের উপর জুড়ে দেয়া লেখাও একই দাবি করা হয়, যেখানে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়ার আগে একজন ব্যক্তিকে একটি মঞ্চে অন্য একজন ব্যক্তির দিকে ছুটে যেতে দেখা যায়।

ভারতের আইনসভা একটি আইন পাস করার পর একই ধরনের পোস্ট ফেসবুকে এখানে ও এখানে ছাড়ানো হয়। আইনটি শক্তিশালী ওয়াকফ বোর্ডগুলোতে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে বলে যুক্তি দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদির সরকার (আর্কাইভ লিংক)।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে মুসলিমদের দুই ডজনের মত ভূমি-মালিকানা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান কয়েক বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ৯ লাখ একর (৩লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর) ভূমি সম্পত্তির মালিক। যা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেলওয়ে এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি বৃহত্তম ভূমির মালিক করে রেখেছে।
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ব্যবহার করে 'রাজনীতিকে বিভেদের" দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে বিরোধী দলগুলি সরকারের সমালোচনা করছে।
তবে আইনটিকে সমর্থন করার জন্য মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির মিত্র বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে চড় মারা হয়েছে বলে কোনও অফিসিয়াল প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
৯ এপ্রিল বিহার পুলিশের মুখপাত্র রূপেশ ঝা এএফপিকে বলেন, "সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলার এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি"।
ভিডিওটির কিফ্রেম নিয়ে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় যে, এটি ২৭ মার্চ ২০২২ তারিখে ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিল (আর্কাইভ লিংক)।
পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, "বিহার। বখতিয়ারপুরে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন এক যুবক মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে"।

একই সময়ে একাধিক সংবাদ মাধ্যমও ভিডিওটিপ্রকাশ করেছিল এবং কুমারের জন্মস্থান বখতিয়ারপুরে একটি অনুষ্ঠানে ঘটনাটি ঘটে বলে এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে (আর্কাইভ এখানে, এখানে ও এখানে)।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কুমারের ওপর হামলাকারী ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বলে জানা গেছে (আর্কাইভ লিংক)।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ