
এই ফুটেজটি ২০১৫ সালে সিরিয়ান বিদ্রোহীদের দ্বারা ইদলিব শহর দখলের ঘটনার
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 25 আগস্ট 2021, 13:55
- 3 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: Qadaruddin SHISHIR, এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ১৬ আগস্ট ফেসবুকে এমন একটি পোস্টে ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: 'আমি মক্কা বিজয় দেখিনি তবে দেখলাম কাবুল বিজয়। আফগান ও তালেবানের নতুন খবর। ইতিমধ্যে তালেবানেরা আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গা দখল করে নিয়েছে।'

পাঁচ হাজার বারের বেশি ভিউ হওয়া ওই পোস্টের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একদল সশস্ত্র লোক রাস্তায় সিজদা করছে। তারা অস্ত্র উচিয়ে উল্লাস করছে এবং স্লোগান দিচ্ছে। এরপর প্রচুর গুলির শব্দ শোনা যায়। ভিডিওর এক অংশে দেখা যায় উচু একট দণ্ড থেকে পতাকা নামানোর সময় যোদ্ধারা উল্লাস করছে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান যোদ্ধারা কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ফেসবুকে এইরকম দাবিসহ ভিডিও এখানে, এখানে ও এখানে পোস্ট করা হয়েছে। তালেবান কর্তৃক আফগান রাজধানী দখলের পর হাজারো মানুষ সেই অঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
তবে ভিডিওটি কাবুলের বলে ছড়ানো দাবিটি ভুল।
ভিডিওর একদম শুরুতেই ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে না এমন একটি কণ্ঠে আরবিতে বলা হচ্ছিলো: 'আল্লাহু আকবার। আল্লাহু আকবার। ইদলিব শহর মুক্ত করার পর মুজাহিদরা আল্লাহর সামনে সিজদা করছেন।'
রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, ৪ মিনিট ১৬ সেকেন্ড দীর্ঘ একই ভিডিও ২০১৫ সালের ২৮ মার্চ এই ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড হয়েছিল; যেখানে বলা হয়েছে যে, ফুটজটিতে সিরিয়ার ইদলিব শহরের হানানো স্কয়ার মুক্ত করার দৃশ্য এটি।

গুগলে কীওয়ার্ড সার্চ করে এই ফুটুজের বিভিন্ন অংশ সম্বলিত একটি ভিডিও পাওয়া গেছে ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে। আল জাজিরার প্রতিবেদনের শিরোনাম হচ্ছে: 'যৌথ অভিযানে ইদলিব শহর দখল করেছে সিরিয়ান বিদ্রোহী যোদ্ধারা'।
রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে: 'এক্টিভিস্ট এবং বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর কাছ থেকে প্রথমবারের মতো দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইদলিবের দখল নিয়েছে সিরিয়ান আল কায়েদার শাখাসহ বিদ্রোহীরা।'
প্রতিবেদনে যুক্ত ভিডিও রিপোর্টে --যেখানে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ফুটেজের কিছু অংশ রয়েছে-- বলা হয়েছে: 'বিজয়ের পর গভর্নর ভবনের সামনে যোদ্ধারা নিজেদের উদযাপনের ভিডিও তুলেছে এবং দ্রুতই সেসব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।'
নিচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্ট এবং আল জাজিরার রিপোর্টে ব্যবহৃত ফুটেজের তুলনামূলক দুটি চিত্র তুলে ধরা হলো:


ভিডিওটির ফুটেজে বেশ কিছু ইঙ্গিত রয়েছে যেগুলো নির্দেশ করে এটি আফগানিস্তানের নয়, বরং সিরিয়ার ঘটনা।
আল জাজিরার উন্নতমানের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে, উচু দণ্ড থেকে পতিত হওয়া পতাকাটি সিরিয়ান পতাকা; যেটি লম্বালম্বিভাবে লাল, সাদা এবং কালো তিনটি রঙ্গে ডিজাইন করা এবং মাঝখানে দুটি সবুজ তারকা রয়েছে।
ফুটেজের আরও কয়েক জায়গায়ও পতাকাটি দেখা যায়; যেমন দেখুন এখানে ও এখানে। SyrianAir এর লোগোও এখানে এবং এখানে দেখা যাচ্ছে।

আফগানিস্তানে চলমান সংঘাত সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুয়া দাবি আগেও খণ্ডন করেছে এএফপি।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ